ভণ্ডামি বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসুন: বিএনপি–জামায়াতকে আহ্বান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৪:১২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিএনপি ও জামায়াতকে দ্রুত নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভণ্ডামি’ বাদ দিলে দেশের মানুষ দ্রুত নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মুক্তি পাবে।
বৈঠক শেষে বক্তব্যে নাসীরুদ্দীন বলেন, বিএনপি–জামায়াত যে জুলাই সনদ নিয়ে কথা বলছে, সেটি বাস্তবায়নের পর্যায়ে (এক্সিকিউশন লেভেলে) পৌঁছাচ্ছে না। এর ফলে দেশটিতে নির্বাচন বিলম্ব হচ্ছে এবং জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে। তিনি উভয় দলের কর্মী ও সমর্থকদের কাছে অনুরোধ করে বলেন, ‘‘জাতির ও জনগণের দিকে তাকিয়ে এসব ভণ্ডামি বাদ দিয়ে দ্রুত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।’’
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিঘ্নগ্রস্ত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন সংকটে পড়ার মুখে রয়েছে। এসব পরিস্থিতির মোকাবিলায় দ্রুত স্থিতিশীলতা আনা জরুরি—তারই জন্য রাজনৈতিক ধারা স্বাভাবিক করতে এখনই নির্বাচনের প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
রাজনৈতিক জোট সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন জানান, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী তিনটি ব্লক গঠিত হতে চলেছে। একটি ইসলামিক ব্লক ইতোমধ্যেই গঠিত, অন্যটি বিএনপির নেতৃত্বে এবং তৃতীয়টি এনসিপির নেতৃত্বে হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘আমরা বিএনপি–জামায়াতের ব্লকে যাচ্ছি না; আমরা স্বতন্ত্র থাকব।’’
একীভূত হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যারা আন্দোলন করেছেন তাদের অনেকে এনসিপির সঙ্গে যোগ দিতে সম্মত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ‘‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সামনে দীর্ঘ লড়াই আছে। আমরা একত্রিত হয়ে কাজ করব এবং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দেশের জনগণকে চূড়ান্ত বার্তা দেব।’’
দলীয় নাম ও প্রতীক সম্পর্কিত প্রশ্নে নাসীরুদ্দীন নিশ্চিত করেন যে, একীভূত হলে দলটির নাম ও প্রতীক এনসিপিই থাকবে এবং অন্যান্য দলের নাম ও প্রতীক এনসিপির অধীনে বিলুপ্ত হবে। তিনি জানান, ‘‘এনসিপির ব্যানারে অনেক দল-মত ও ব্যানার একত্রিত হচ্ছে; আমরা একটি বড় দল গঠন করতে যাচ্ছি।’’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এ আহ্বান রাজনৈতিক পরিবেশ ও নির্বাচন নিয়ে চলমান বিতর্কের এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আগামী দিনগুলোতে দলের একীভূত প্রসেস ও নির্বাচন সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্ব পাবে।
১৪৪ বার পড়া হয়েছে