পিরোজপুরে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ ও নতুন ব্যাচের উদ্বোধন
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫ ৪:০৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পিরোজপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় ব্যাচের সনদপত্র বিতরণ এবং তৃতীয় ব্যাচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।
সোমবার (২২ জুলাই) এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আলাউদ্দীন ভূঞা জনী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, পিরোজপুরের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মোঃ রেজাউল হক এবং ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড বরিশালের বিভাগীয় প্রধান কিশোর চন্দ্র বালা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর পিরোজপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ মমিনুল হক বকাউল এবং সভাপতিত্ব করেন উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল হাই মল্লিক।
ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয় এবং একইসঙ্গে নতুন ভর্তি হওয়া তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো—দেশের ৪৮টি জেলায় কর্মপ্রত্যাশী শিক্ষিত যুব সমাজকে ডিজিটাল স্কিল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা এবং তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলা।
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় গড়ে উঠছে আত্মনির্ভর এক প্রজন্ম পিরোজপুরের ‘ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড’ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ১০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ইতোমধ্যেই ৮৬ জন কোর্স চলাকালীন অবস্থাতেই আয় শুরু করেছে।
পিরোজপুর ব্রাঞ্চ কো-অর্ডিনেটর, মো. মাহিন খান,
জানান: “আমরা শুধু প্রশিক্ষণ দিচ্ছি না— শিক্ষার্থীদের আয়ের পথ দেখিয়ে দিচ্ছি। তারা নিজেরাই উদ্যোক্তা হতে চাইছে। কেউ কেউ তো নিজস্ব প্রশিক্ষণ সেন্টার চালানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে।”
এই প্রশিক্ষণে গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, টাইপিংসহ বিভিন্ন ডিজিটাল স্কিল শেখানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ফাইভার, আপওয়ার্কসহ আন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্ল্যাটফর্মে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।এখানে শিক্ষার্থীরা জানান শুধু দেখতাম ফ্রিল্যান্সিং শিখে অনেকেই সফল হয়েছে, কিন্তু এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার পর মনে হচ্ছে আমরা ও সফল হতে পারব। কোর্সে ভর্তি হই, কিছুদিনের মধ্যেই কাজ পাই। এখন আমি ফাইভার আর আপওয়ার্ক থেকে আয় করছি।"
এই প্রশিক্ষণটি ৩ মাস মেয়াদি, যেখানে প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস নেওয়া হয়। কোর্স চলাকালীন সকাল, দুপুর ও বিকেলের খাবারের ব্যবস্থা থাকে এবং কোর্স শেষে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে সরকারি প্রণোদনা প্রদান করা হয়।
পিরোজপুরের মাছিমপুর রোড সংলগ্ন জেলা পরিষদের পাশে অবস্থিত ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড সেন্টার থেকে প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে সম্ভাবনাময় এক একটি সফল গল্প।
২৩৫ বার পড়া হয়েছে