৫ আগস্টের পর শ ম রেজাউলকে অপহরণের পরিকল্পনায় ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা!

তবে প্রায় দশ মাস পর, ভারতের এক গণমাধ্যমে মুখ খোলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, কীভাবে ৫ আগস্ট তিনি ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান এবং কোন পথ দিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। ওবায়দুল কাদেরের সেই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নিয়ে যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তুঙ্গে, তখনই মুখ খুলেছেন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রেজাউল করিম জানান, ৫ আগস্টের পর পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ রূপ নেয়, তখন তিনি ঢাকায় নিজ বাসায় ছিলেন। এর মধ্যে একাধিকবার তার বাসার আশপাশে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা লক্ষ করেন। কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি জানতে পারেন, এক সময়ের ঘনিষ্ঠ ছাত্রলীগ নেতা – যিনি দলীয়ভাবে তার কাছ থেকে নিয়মিত সুবিধা পেতেন – তিনিই নাকি তাকে অপহরণের পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন।

শ ম রেজাউল বলেন, “তখন পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, আমি জানতাম না কে বন্ধু, কে শত্রু। এমনকি যাদের আমি রাজনৈতিকভাবে তৈরি করেছি, তারাও আমাকে বিপদের মুখে ফেলতে চেয়েছিল।”

তথ্য মতে, সেই ছাত্রলীগ নেতা কয়েকজন উগ্রপন্থী তরুণকে সাথে নিয়ে রেজাউল করিমকে অপহরণ করে মিডিয়ায় ‘প্রতীকী বিচার’ দেখানোর পরিকল্পনা করেছিলেন, যাতে সরকারবিরোধী আন্দোলন আরও উসকে দেওয়া যায়। তবে শেষ মুহূর্তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেজাউল করিম স্থান পরিবর্তন করলে অপহরণের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

এই ঘটনার পর তিনি কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকেন এবং পরে পরিবারসহ দেশত্যাগ করেন। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলেও জানা গেছে।

রাজনীতির পটপরিবর্তনের এমন অজানা কাহিনি সামনে আসায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। ৫ আগস্টের সেই দিন ও তার পরবর্তী ঘটনাগুলো কীভাবে ইতিহাসে জায়গা করে নেবে, তা সময়ই বলে দেবে।