সর্বশেষ


পিরোজপুর

পিরোজপুরের আলোচিত মামলার আসামি যুবলীগ নেতা ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য নাছির উদ্দিন হাওলাদার গ্রেফতার

ষ্টাফ রিপোর্টার :
ষ্টাফ রিপোর্টার :

রবিবার, ১১ মে, ২০২৫ ২:০৯ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
শনিবার পিরোজপুরের চাদাবাজী ও বিস্ফোরক মামলায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার ভাংগা প্রেস এলাকা থেকে রবিবার বিকেল ৪.৩০ মিনিটে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী যুবলীগ নেতা ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য নাছির উদ্দিন হাওলাদার গ্রেফতার করেছে যাত্রাবাড়ী থানার সাব ইন্সপেক্টর ইফাদ বাবু।

জানা গেছে, পিরোজপুর সদর থানায় গত ৭ এপ্রিল পিরোজপুরে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. চান মিয়া মাঝিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যার পরিকল্পনা, ঘর ভাঙচুর, লুটপাট, গুলিবর্ষন ও বোমা বিস্ফোরণ এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম কলিম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় চান মিয়া মাঝি ছাড়াও তার ছেলে মুরাদ হোসেন মাঝি, ভাগ্নে পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার, হারুনার রশিদ বাদশা, মো. মাসুদ মাঝি, রশিদ শাহরিয়ার মাঝি, লোকমান হোসেন হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার ঝন্টু, সামশুদ্দিন কালু, মো. সাখাওয়াত হোসেন মল্লিকসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ হয়, আওয়ামী লীগের সরকারের সময়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোট মনোনীত প্রার্থী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে আলহাজ শামীম বিন সাঈদী ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। তার নির্বাচনের পক্ষে তৎকালীন জেলা বিএনপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম কলিম নির্বাচন করতে ঢাকা থেকে পিরোজপুরের দুর্গাপুরের বাড়িতে এলে আওয়ামী কৃষক লীগের পিরোজপুর জেলা সভাপতি চান মিয়া মাঝির নেতৃত্বে ২০১৮ মালের ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ২০/২৫ জন অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী বাহিনী পিরোজপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের চান মিয়া মাঝির বাড়ির সামনের ব্রীজের ঢালে তার (জহিরুল ইসলাম কলিম) গাড়ি থামিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে এবং গাড়ির মধ্যে থাকা ধানের শীষ প্রতীকের পোষ্টার ও লিফলেট ছিনিয়ে নেয়। এসময় হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পরের দিন ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝির নেতৃত্বে ৫০/৬০জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, হকিস্টিক ও দেশীয় লাঠিসোটা নিয়ে জহিরুল ইসলাম কলিমের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা কলিমের বাড়ির সামনে বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে ২০/২৫ রাউন্ড গুলি ও ৮/১০টি বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে ঘরে প্রধান ফটক দাও দিয়ে কুপিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে ভাংচুর ও স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুটপাট করে। এসময় তারা কলিমের বৃদ্ধ মায়ের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং কলিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পরে জীবন বাঁচাতে কলিম পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়।

যাত্রাবাড়ী থানার সাব ইন্সপেক্টর ইফাদ বাবু জানান, পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো: রবিউল ইসলাম স্যারের পাঠানো মামলা নং ০৪/৬২ তারিখ ০৭-০৪-২০২৫ইং ধারা-৩৪১/৩০৭/৪২৭/৩৮০/৩৮৫/৫০৬ পেনাল কোড পিরোজপুর মামলার আসামিকে গ্রেফতারের রিকজিশনের ভিত্তিতে মামলার ০২ নং আসামি নাছিরকে আজ ৪০.৩০ মিনিটে ভাংগা প্রেস এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছি।

১৮২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
পিরোজপুর নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন