সর্বশেষ


বাণিজ্য

বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে কি স্থায়ী কমিশন হচ্ছে

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ১১ মে, ২০২৫ ৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চাল, ডাল, ডিম, ভোজ্যতেল, চিনি ইত্যাদি নিত্যপণ্যে সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য নতুন একটি কমিশনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কমিশনটি স্থায়ী করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কমিশনের প্রস্তাবিত নাম ‘জাতীয় বাজার স্থিতিশীলতা কমিশন (এনবিএসসি)।’ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এ কমিশন গঠনের প্রস্তাবক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন শুধু প্রস্তাব দেয়নি, কমিশন গঠনের একটি রূপরেখাও তৈরি করে দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ রূপরেখার ওপর একটি বৈঠক করেছে গত ২৩ জানুয়ারি। তখন বাণিজ্যসচিবের পদ ফাঁকা ছিল। সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।

বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে কি স্থায়ী কমিশন হচ্ছে

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চাল, ডাল, ডিম, ভোজ্যতেল, চিনি ইত্যাদি নিত্যপণ্যে সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য নতুন একটি কমিশনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কমিশনটি স্থায়ী করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কমিশনের প্রস্তাবিত নাম ‘জাতীয় বাজার স্থিতিশীলতা কমিশন (এনবিএসসি)।’ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এ কমিশন গঠনের প্রস্তাবক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন শুধু প্রস্তাব দেয়নি, কমিশন গঠনের একটি রূপরেখাও তৈরি করে দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ রূপরেখার ওপর একটি বৈঠক করেছে গত ২৩ জানুয়ারি। তখন বাণিজ্যসচিবের পদ ফাঁকা ছিল। সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।

ওই বৈঠকের পর কিছুদিন থেমে ছিল উদ্যোগটি। তবে তাগিদ ছিল জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দিক থেকে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে মাহবুবুর রহমান নিয়মিত বাণিজ্যসচিব হিসেবে যোগ দেন। এরপরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ১৬ মার্চ সম্ভাব্য কমিশনের রূপরেখার ওপর মতামত দিতে চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি পাঠায়। সঙ্গে পাঠায় রূপরেখার ওপর অনুষ্ঠিত আলোচনার সারসংক্ষেপ।

প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানই এ ব্যাপারে তখন মতামত দেয়নি। পরে গত ১০ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আবার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে মতামত দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

উভয় চিঠিতেই প্রস্তাবিত কমিশনের রূপরেখাটি পর্যালোচনা করে পরিপূর্ণ মতামত দেওয়ার অনুরোধ করা হয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত জাতীয় বাজার স্থিতিশীলতা কমিশনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, ক্ষমতা, দায়িত্ব বা কার্যাবলির সঙ্গে তাদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, ক্ষমতা, দায়িত্ব বা কার্যাবলির কোনো দ্বৈত আছে কি না, তা পর্যালোচনা করতে হবে।

জানা গেছে, নতুন কমিশন গঠনে আপাতত ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে কার্যক্রম বাড়লে এ কমিশনের জন্য বাজেট আরও বাড়বে। বাজার স্থিতিশীলতার জন্য এ কমিশন জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও অন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে সহযোগিতা ও অনুদান নিতে পারে।

টিসিবি ও বিটিটিসির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। নাম না প্রকাশের শর্তে বিটিটিসির একজন কর্মকর্তা জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে ঠিক, তবে নতুন কোনো কমিশন গঠনের বদলে বিদ্যমান সংস্থাগুলোকে কার্যকর ও শক্তিশালী করার মধ্যেই সমাধান করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা নতুন কমিশন গঠনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে মতামতের জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকব। এরপর সময়সীমা ঠিক করব।’

১৩২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
বাণিজ্য নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন